Sign In

অনলাইনে যে ৫টি কাজ করা উচিত নয়

অনলাইনে যে ৫টি কাজ করা উচিত নয়

অনলাইনে আমাদের সীমাবদ্ধতা গুলো সকলের জানা উচিত। চলুন জেনে নেই অনলাইনে যে ৫টি কাজ করা উচিত নয়। বিশ্ব প্রযুক্তিই খুব দ্রুতই অগ্রসর হচ্ছে সেই সাথে আমরা হয়ে উঠছি ইন্টারনেট নির্ভর। এখনকার সময়ে বেশিরভাগ কাজে অনলাইনে সম্পন্ন করা যায়। তাই এইখানে মানুষের পদচারণা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়ে উঠছে।

অনলাইনে যেমন আমাদের সম্পৃক্ততা বেড়েছে সেই সাথে সময় এসেছে সেখানে আমাদের কি কি করা উচিত আর কি কি করা উচিত নয় সে বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা রাখা। এখন পরিবার আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সবাই অনলাইনের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করে নিজেদের কার্যসিদ্ধি করে। 

তাই বর্তমান সময়ে অনলাইনে এমন কিছু কাজ করা উচিত নয় যাতে আমাদের আত্মমর্যাদায় আঘাত হানে এবং সামাজিক অবক্ষয় ঢেকে আমি। আপনি চাইলে অনলাইন পাঠদান মনিটরিং করার সহজ পদ্ধতি নিয়ে ধারনা নিতে পারেন।

অনলাইনে যে ৫টি জিনিস করবেন না

নানাবিদ গবেষণার পর আমরা আপনার জন্য একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হিসেবে অনলাইনে কোন ৫টি কাজ বিশেষভাবে করা উচিত নয় সেটি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আমাদের দেওয়া এই কয়টি বিষয় ছাড়াও অনলাইনে এমন কিছু কাজ আছে যা আপনার এড়িয়ে চলা উচিত। 

সকল বয়সী মানুষদের কথা বিবেচনায় রেখে আপনাকে অনলাইনে কার্যক্রম গুলো পরিচালনা করতে হবে যাতে পারিবারিক সামাজিক এবং আর্থিক সব বিষয়ে সমান ব্যালেন্স তৈরি হয়। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক এমন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে।

জানুন অনলাইনে প্রশ্নের সীমাবদ্ধতা

অনলাইনে কারো সাথে আলাপচারিতার সময় অবশ্যই তার ব্যক্তিগত অথবা সম্বোধনশীল কিংবা তাকে বিব্রত করে এমন কোন কথা বলা থেকে এড়িয়ে চলুন। এমন কোন প্রশ্ন করবেন না যাতে করে তার মানসিক বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে। 

যার সাথে আলাপ করছেন তার প্রোফাইলে পাবলিক হিসেবে দেওয়া তথ্যগুলো পুনরায় তাকে জিজ্ঞেস করবেন না। এখন প্রত্যেকেই তার পাবলিক প্রোফাইলে কর্মস্থলের তথ্য সহ অন্যান্য তথ্যাদি উল্লেখ করে রাখে তাই পুনরায় তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা বিব্রতকর। 

কাউকে অনলাইনে একই প্রশ্ন বারবার করা থেকে বিরত থাকবেন এবং বারবার এসএমএস করলে অপরপক্ষের লোকটি বিরক্ত ও বিব্রত হতে পারে। 

সময় জ্ঞান এর দিকে নজর রাখবেন

এখন আমরা বেশিরভাগ সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একে অন্যের সাথে আলাপ আলোচনা করে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সচেতন হওয়া উচিত যাকে বার্তা পাঠাচ্ছি তার সাথে আপনার সম্পর্ক এবং বয়স বিবেচনায় রাখতে হবে। 

সময় অসময়ে যে কাউকে মেসেজ দিয়ে বা অডিও ভিডিও কল দিয়ে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকবেন। কাউকে অনলাইনে দেখলেই সাথে সাথে তাকে কল দিবেন না এতে করে সে বিব্রত হতে পারে। 

আপনার অনাকাঙ্ক্ষিত কলের কারণে হয়তো তার ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে অথবা সে গুরুত্বপূর্ণ এমন কিছু কাজ করছে তাতে ব্যাঘাত ধরতে পারে। তাই অবশ্যই আপনাকে কাউকে বার্তা প্রেরণ অথবা কল করার ক্ষেত্রে সময় জ্ঞান বিবেচনা রেখে যোগাযোগ করতে হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করুন 

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে মানুষের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। এখন মানুষ ব্যক্তিগত,  সামাজিক,  রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও এই মাধ্যমগুলোতে সরাসরি আলোচনা করে থাকে। 

এক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত কারণ সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য একটি দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তাই এর থেকে এড়িয়ে থাকতে হবে। 

সেই সাথে কারো পোস্টে এমন কোন কমেন্ট করা যাবে না যাতে তার মনে কষ্ট আসতে পারে অথবা সে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে। 

আমরা অনেক সময় আমাদের ব্যক্তিগত ছবি বা নিজস্ব কোন বিষয়ে পোস্ট করে অন্যকে অযথাই ট্যাগ করে থাকি যা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ আপনি যাকে ট্যাগ করছেন সে এটার সাথে সম্পৃক্ত না হলে সে অনেক বেশি বিরক্তি বোধ করবে। 

ফেসবুক ওয়ালে ছবি এবং পোস্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত। মনে রাখতে হবে শুধু আপনি একাই ফেসবুক ব্যবহার করেন না আপনার পরিবারের ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে প্রায় সবাই এখন ফেসবুক ব্যবহার করে। 

তাই এখানে পোস্ট করা অথবা কমেন্ট করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচেতনতা অবলম্বন করুন এবং প্রয়োজনের বাইরে কোন কিছু লেখা থেকে বিরত থাকুন। 

সবাইকে সম্মান দেয়া

বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যাণে শিশু,  বৃদ্ধ,  নারীসহ সবাই অনলাইনে মোটামুটি সম্পৃক্ত থাকে। এজন্য এখানে এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে কারো সম্মানে আঘাত আনে। 

বিশেষ করে নারী এবং ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। অনলাইনে নারীদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে চেষ্টা করুন এবং কোন প্রকারের ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য বাজে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। 

আপনি কোথায় কি মন্তব্য করছেন কোন নারীকে কি কমেন্ট করছেন তার ওপরে আপনার রুচিবোধ প্রকাশ পাবে তাই এটি আপনার এড়িয়ে চলা উচিত। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে কারো পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকবেন। 

ছবি তোলা এবং পোস্ট করার ক্ষেত্রে সচেতনতা

অল্প পরিচিত বা খুব কাছের কেউ নয় এমন কোন মানুষের ছবি তোলা এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিত। একান্ত পোস্ট করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই তার অনুমতি নিতে হবে কারণ এটি সৌজন্যতার পরিচয় দেয়। 

একইভাবে অন্য কোন পরিবারের শিশু অথবা পোষা প্রাণী দের ছবি অনলাইনে পোস্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিবেন।  সেই সাথে আপনার ছবিতে অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যের চেহারা চলে আসলে সেটি পোস্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্লার অথবা ওই অংশটি মুছে দিয়ে পোস্ট করার চেষ্টা করবেন। 

সূত্রঃ প্রথমআলো

অবশেষে বলবো আপনারা অনলাইনে যে ৫টি কাজ করা উচিত নয় এ বিষয়গুলো নিজে নিজে চিন্তা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ অনলাইন এর বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োগ করবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করে দিবেন এবং এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানার থাকলে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *