বাংলা সনের জন্মকথা
বাঙ্গালী হিসেবে বাংলা সনের জন্মকথা জানা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য সব কিছুর সাথে মিশে আছে বাংলা সাল বা সন। বাংলা সাল গণনা কখন থেকে শুরু হয়েছে তা নিয়ে ভাবেনি এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।
বেশ কিছু দিন আগেও এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক কিছুই নির্ভর করত বাংলা সন হিসেব করে। তাই আজকে আপনাদের জন্য আমাদের আয়োজন বাংলা সনের জন্মকথা নিয়ে।
বাংলা সনের জন্ম
রাশিচক্রের ভিতর দিয়ে চন্দ্রের সাতাশটি নক্ষত্র পরিক্রমণের হিসাবে নক্ষত্র সনের প্রতিষ্ঠা হয় প্রাচীন ভারতীয় ঋষিগণ কর্তৃক। চন্দ্রের রাশি পরিক্রমণে সময় লাগে ত্রিশ দিন, পক্ষান্তরে সূর্যের সেখানে লাগে ৩৬৫ দিন, অর্থাৎ এক মাসে সূর্য মাত্র একটি করে রাশি অতিক্রম করে।
তাই চন্দ্রের পরিক্রমের সময়কে বলা হয় মাস, আর সূর্যের পরিক্রমের সময়কে বলা হয় বৎসর। আমাদের প্রাচীন পূর্ব পুরুষেরা সূর্যের গতিবিধি লক্ষ্য করে মাস বা বছরের হিসেব করতেন না। তারা চাঁদ এবং রাশিচক্রের উপর দিয়ে চাঁদের গতিবিধি দেখে সময় ভাগ করতেন। এই ভাগকে মাস, তিথি, দণ্ড, বৎসর ইত্যাদি নামে অভিহিত করতেন।
মাস বলতে তারা বুঝতেন চাঁদের এক পূর্ণিমা থেকে আর এক পূর্ণিমায় আসতে যে সময়টা লাগত সেই সময়টাকে (২৯- দিন) এক রাশি থেকে সূর্য যে সময়ে পরবর্তী রাশিতে প্রবেশ করে তাকেই সংক্রান্তি বলে-
এই সময়কে এক ‘সৌর মাস’ বলে এখন
সূর্য রাশিচক্র বা ক্রান্তিবৃত্তের উপর দিয়ে চলতে চলতে যেদিন শেষ রাশিতে প্রবেশ করে সেদিন থেকে আমাদের নতুন বছর শুরু হয়। এই দিনটিই পয়লা বৈশাখ। সংক্রান্তির শুরু হয় মেষ রাশি থেকে এবং শেষ হয় মীন রাশিতে।
বারো রাশির নাম হল মেষ, বৃষ, মিথুন, কর্কট, সিংহ, কন্যা, তুলা, বিছা, ধনু, মকর, কুম্ভ ও মীন। চাঁদ ২৭ দিনে বারো রাশি ও ২৭ নক্ষত্র এবার করে ঘুরে আসে। সূর্যের লাগে ১ বৎসর।
বারো রাশি ও ২৭ নক্ষত্র মিলে রাশিচক্র পূর্ণ হয়। এ সম্পর্কে হিন্দুদের পুরানে একটি গল্প আছে প্রজাপতি দক্ষের সাতাশটি পরমা সুন্দরী কন্যা ছিল। তাদেরকে তিনি চন্দ্রদেবের সঙ্গে বিয়ে দিলেন।
চন্দ্রদেব বারো রাশির মধ্যে সাতাশ সুন্দরী স্ত্রীকে এমনভাবে ঘর বেঁধে দিলেন যে প্রতি মাসে একবার তিনি তাদের সাক্ষাৎ দিতে পারেন।
বৈশাখ মাসের নাম হয়েছে বিশাখা নক্ষত্র থেকে
তেমনি জৈষ্ঠ মাস—জেষ্ঠা নক্ষত্র থেকে; আষাঢ়—আষাঢ়া, শ্রাবন—শ্রবনা, ভাদ্র—ভাদ্রপাদি, আশ্বিন—আশ্বিনী, কার্তিক কৃর্তিকা, অগ্রহায়ন—প্রথম মাস, পৌষ—পুষ্যা, মাঘ – মঘা, ফাল্গুন—ফল্গুনী, চৈত্র—চিত্রা নক্ষত্র থেকে।
ভারতের প্রাচীন ঋষিগণ যেমন নক্ষত্রের নামে মাসের নামকরণ করেছিলেন, সপ্তাহের দিনগুলির নামকরণের বেলাতেও তেমনি গ্রহ-উপগ্রহের দিকে দৃষ্টিপাত করেছিলেন।
যেমন রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র, ও শনি। সোম অর্থ চাঁদ। মোঘল বাদশাহ আকবরের সময় হিজরী সনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে বাংলা সন প্রচলিত হয় ১১ই এপ্রিল ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে, ১লা বৈশাখ ১৪৭৮ শতাব্দ। মোটামুটি বাংলা সনের সঙ্গে ৫৯০ যোগ করলে খ্রিস্টিয় সন মিলে।
বাংলা মাস গণনা
বাংলা মাস গণনার সুবিধার জন্য বৈশাখ, জৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবন, ভাদ্র এই পাঁচ মাসের প্রতি মাস ৩১ দিন হিসাবে এবং আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রাহায়ন, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র এই বাকি সাত মাসের প্রতি মাস ৩০ দিন হিসাবে গণনা করা হয়।
লিপ-ইয়ারের চৈত্র মাস ৩১ দিনে হবে। ৪ দ্বারা যে সাল বিভাজ্য তাহাই লীপ-ইয়ার বা অতিবর্ষ। বাংলা একাডেমী ড. শহীদুল্লাহর প্রবর্তিত এই বর্ষপঞ্জী প্রকাশ করেছেন ১৩৭৩ সাল থেকে বৈদিক ঋষিরা, খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে কালবিভাগ করে দিলেন।
তার পাঁচশত বৎসর পরে বেদাঙ্গ জ্যোতিষ পঞ্জিকার প্রচলন হয় । তারপর ৪র্থ বা ৫ম খ্রিস্টাব্দ শতকে আর্যভট্ট, বরাহমিহির কর্তৃক ‘সূর্য সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা’ প্রচলন করেন।
বিগত ১০০ বৎসরেরও অধিককাল যাবৎ বাংলাদেশে পঞ্জিকা মুদ্রিত হইতেছে। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সময় (১৭৫০ সালের দিকে) ‘নবদ্বীপ পঞ্জিকা’ সঙ্কলিত হয়।
১৮৬৯ সালে ‘গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা’ সর্বপ্রথম মুদ্রিত হয়। ১২৯৭ বঙ্গাব্দে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকার’ প্রকাশনা আরম্ভ হয় । ১৯৫২ সালে ভারতে ড. মেঘনাদ সাহা কর্তৃক পঞ্জিকা সংশোধিত হয়।
ইংরেজি মাসের জন্মকথা
পুরানো দিনে ব্যবিলন, মিশর এই সব প্রাচীন সভ্যতায় সাত দিনের একটি ‘সপ্তাহ’ গণনা শুরু হয়। ইংরেজ সমাজে সপ্তাহের নাম দেয়া হয় নরওয়ের পৌরাণিক দেব-দেবীর নাম অনুযায়ী যেমন : সুন্নানড্যাগ (Sunnandaeg) – রবিবার;
মোনানড্যাগ ( Monandaeg) – সোমবার; তিবেসড্যাগ (Tiwesdaeg) – মঙ্গলবার; বোদেনড্যাগ ( Wodendaeg) – বুধবার; তরড্যাগ (Thoidaeg) – বৃহস্পতিবার; ফ্রিগ্গাড্যাগ (Friggadaeg) শুক্রবার; স্যাতরনড্যাগ (Saeterndaeg) – শনিবার।
রোম সম্রাট জুলিয়াস সীজার ৪৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে ক্যালেন্ডার সংস্কারের কাজে প্রথম হাত দেন। তাকে সাহায্য করেন আলেকজান্দ্রিয়ার জ্যোর্তিবিদ সোসিগেনীস।
ঠিক করা হয় বৎসর হবে ৩৬৫ দিনে আর ৪ বছর অন্তর বছর হবে ৩৬৬ দিনের। ১৬০০ বছর এই ক্যালেন্ডার দিয়ে কাজ চলল। কিন্তু ততদিনে দেখা গেল যে ১০ দিনের হিসাব গরমিল হয়ে গেছে।
কারণ হল যে পৃথিবীর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে লাগে ৩৬৫, ২৪২২ দিন । অর্থাৎ বছরে বাড়তি দিন হয় ৭.৮ দিন। এই হিসাব শোধরাবার জন্য পোপ গ্রেগরী ১৩, ১৫৮২ সনে ঠিক করলেন শতাব্দীর যে বছরকে ৪০০ দিয়ে ভাগ করা যাবে না সে বছরকে লীপ-ইয়ার বলে গণ্য করা হবে না।
তার মানে সে বছরে ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনের হবে
এর ফলে ১৭০০, ১৮০০, ১৯০০ সনে লীপ-ইয়ার হবে না। কিন্তু ২০০০ সালে হবে । এই ক্যালেন্ডারের নাম গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডার পৃথিবীর সর্বত্র আজ এই ক্যালেন্ডার প্রচলিত।
রোম সাম্রাজ্যে আগে মার্চ মাস থেকে বৎসর শুরু হত। তাই সেপ্টেম্বর (অর্থ সপ্তম), অক্টোবর (অষ্টম) নভেম্বর (নবম) ডিসেম্বর (দশম) মাস হলেও বর্তমানে তা নয়। পরে জানুয়ারি মাস থেকে নববর্ষ গণনা শুরু হয়। যীশু খ্রিস্টের জন্মদিবসের কাছ থেকে (২৫ শে ডিসেম্বর)
- জানুয়ারি নামটা এসেছে রোমানদের দেবতা ইয়ানুস বা ইংরেজিতে ( Janus) জেনাস থেকে । দাড়িওয়ালা এই দেবতার একটা মুখ সামনে আরেকটা পিছনে।
- ফ্রেব্রুয়ারি নাম আসছে রোমানদের ফেব্রুয়াম (Februam) বছর থেকে ।
- মার্চ মাস তার নাম পাচ্ছে রোমানদের যুদ্ধ দেবতা মার্স (Mars) থেকে ।
- এপ্রিল এসেছে লাতিন শব্দ আপেরিরে (Aperire) থেকে যার মানে হল খুলে ধরা। সম্ভবতঃ এই সময় ফুলের বাহার দেখা দেয়, রবিশস্য কাটা হয় সেই জন্য এই নাম । এ্যাংলো-স্যাক্সনবা এই মাসের নাম রেখেছিল ঈস্টার মাস ।
- মে মাসের নাম এল রোমানদের দেবী মাইয়া (Maia) থেকে।
- জুন হচ্ছে স্বর্গের দেবী জুনিয়াস (Junius) থেকে ।
- জুলাই তার নাম পেল রোম সম্রাট জুলিয়াস সীজার থেকে ।
- আগস্ট রোম সম্রাট অগাস্টাস (Augustas) থেকে, (Julius) তার যুদ্ধ বিজয় উপলক্ষে নাম রেখেছিল।
- সেপ্টেম্বর মাসের নাম আসছে লাতিন শব্দ সপ্তেম ( Septem) থেকে যার মানে সপ্তম ।
- অক্টোবর তেমনি অক্টো (Octo) শব্দ থেকে যার মানে অষ্টম ।
- নভেম্বর হল নোভেম (novem) থেকে যার মানে নবম।
- ডিসেম্বর মাস হল লাতিন শব্দ দেসেম (decem) থেকে, যার মানে দশম ।
শেষের এই চারটি মাস ক্যালেন্ডার সংশোধনের আগে তাদের পূরণবাচক সংখ্যা অনুযায়ী মাস ছিল।
সময় সম্পর্কে কিছু আশ্চর্য্য তথ্য
প্রাচীন হিন্দুরা ২৪ সেকেন্ড সমান সময়কে ‘বিপল’ বলত। প্রত্যেক বিপলকে ৬০ ভাগে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগকে বলত পার। ‘পার’ এর ভগ্নাংশের নাম তাৎপার, তাৎপার এর ভাগের নাম বিতাৎপার, তার অংশের নাম ‘ইমা’ এবং এভাবে শেষ এককের নাম কাস্ত অর্থাৎ এক সেকেন্ডের তিন হাজার লক্ষ ভাগের এক ভাগ (৩০০ মিলিয়ন)।
প্রাচীনকালের হিন্দুরা সব সময়েই ধীর গতিতে কাজ করার পক্ষপাতী ছিল, তাহলে সময়ের এই সুক্ষ্মতম ভাগগুলো তাদের কি কাজে লাগতো? বর্তমানে জানা গেছে যে কান্ত বা ৩ × ১০-৮ সেকেন্ড কয়েক রকম মেসন এবং হাইপারন কণার জীবনকালের কাছাকাছি।
প্রাচীন প্রস্তরযুগে (৩৫০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৮০০০ খ্রিস্টপূর্ব) সময়ে পাথরের বা হাড়ের উপর অঙ্কিত চিহ্ন নাকি দিনপঞ্জি হিসাবে ব্যবহৃত হত।
প্রাচীন স্ক্যান্ডিনোভয় রুনিক দিনপঞ্জি উত্তর ইউরোপে দেখা যায় প্রথম প্রায় ২০০০ হাজার বছর আগে, আর এর ব্যবহার পরিত্যাক্ত হয় ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে মাত্র। এই দিনপঞ্জির আরম্ভ হয়েছিলো ৪৭১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
মিশরের প্রথম দিনপঞ্জি শুরু হয় ৪২৪১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। মিশরীয় নক্ষত্ৰতালিকা প্রকাশিত হয় ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে । ৬০০০ বছর আগে ব্যাবিলনীয় পুরোহিতরা সূর্য বা চন্দ্র গ্রহণ সম্বন্ধে পূর্বাভাস দিতে পারতেন।
‘স্টোনহেঞ্জ’ মানমন্দির তৈরি
ইংল্যান্ডের আদিম অধিবাসীরা ২০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পাথরের তৈরি ‘স্টোনহেঞ্জ’ মানমন্দির তৈরি করেছিল।
চীনারা তারও এক ডিগ্রী উপরে ছিল। ৪৬০০ বছর আগে তারা প্রথম পঞ্জিকা ব্যবহার করে।
প্রাচীন মায়াজাতির হিসেব মতে বছর হয় ৩৬৫.২৪২০ দিনে। তাদের পঞ্জিকা আমাদের চাইতে নিখুঁত।
তাদের মতে চান্দ্রমাস হচ্ছে ২৯.৫৩০২০ দিনে আমাদের মতে ২৯.৫৩০৫৯ দিনে।
প্রাচীন মিশরীয়দের কাছে জ্যোর্তিবৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের ৬৩০,০০০ বছরের
তথ্য ছিলো। ব্যাবিলনের গ্রন্থশাখার বয়স নাকি ৪৭০,০০০ বছর। অন্য এক মতে আসিরীয় ইতিহাস ২৭০,০০০ বছরের পুরনো। মিশরীয় পুরোহিতরা নাকি জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন ৪৯,২১৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে।
ফারাও সম্রাটদের ইতিহাস নাকি ৩৬,৫২৫ বছরের। মিশরীয় ঋষিরা ৪০,০০০ বছর ধরে জ্যোর্তিবিদ্যার চর্চা করেছেন গোপনে। ব্যাবিলনের পুরোহিতরা উত্তর প্লাবন যুগের প্রথম রাজবংশের কাল, তাদের সময়ের ২৪,১৫০ বছর আগে বলে স্থির করেছিলেন।
মায়াজাতির দিনপঞ্জি রাখার পদ্ধতি
মায়াজাতি তাদের দিনপঞ্জি রাখার পদ্ধতি আরম্ভ করে ১৮৬১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে । হেরোডোটাস বলেছিলেন অসিরিস রাজত্ব করেছিলেন ১৫৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
ব্যবিলনের চান্দ্রপঞ্জি এবং মিশরের সৌরপঞ্জি ১১৫৪২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পরস্পরের সঙ্গে মিলে গিয়েছিল। ভারতীয় দিনপঞ্জির আরম্ভ ১১৬৫২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে।
আটলান্টিস নিমজ্জিত হয় ৯৮৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আর জোরোসাস্ট্রিয়ার প্রাচীন গ্রন্থে সময়ের হিসেব আরম্ভ হয় ৯৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে;
ব্যাবিলন এবং মিশরীয় পুরোহিতরা বিশ্বাস করতেন যে মানুষ সভ্য হয়েছে ৫০ লক্ষ বছর আগে;
প্রাচীন যুগে ‘কাল দর্শন বা সময় দর্শন যন্ত্র’ ছিল । ফ্রান্সিসকাম পিকাস Book of the six sciences বইয়ে ‘অল মোসোফি দর্শনের’ নির্মাণ কৌশল বর্ণনা করেছেন । শোনা যায় ঐ দর্পনে সময়ের ছবি দেখা যেতো;
মিশর এবং গ্রীসের দৈববানীর দেবতারা ভবিষ্যতের বা অতীতের ঘটনার কথা বলতে পারতেন;
আইনস্টাইনের মতো নস্ট্রাডেমাসও বলেছিলেন ১৫৫৮ খ্রিস্টাব্দে ‘অনন্তকাল প্রবাহ অতীত বর্তমান আর ভবিষ্যতকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে।’ তিনি ২০০০ সন পর্যন্ত পৃথিবীর ভবিষ্যত বলে গেছেন, কিন্তু কিভাবে তিনি ভবিষ্যত দেখেছিলেন?
মিশরীয় পুরোহিতের লিপিবদ্ধ বক্তব্য হচ্ছে
মানজাতির বহু ধ্বংসের যুগ পার হয়ে গেছে এবং আরও বহু ধ্বংস আসবে। ‘শিশুর মতো তোমাদের সকলকে আবার গোড়া থেকে শুরু করতে হবে।
আগুন এবং জলের দ্বারা বারবার ধ্বংসকার্য চলতে থাকায় পরবর্তী বংশধররা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে ঘটনার ক্রমিকতার স্মৃতি আর সংগ্রহ করে উঠতে পারেনি।
প্রিয় পাঠক, GulfHive এর বাংলা সনের জন্মকথা শুধুমাত্র আপনাদের সময়ের বিচিত্র কাহিনী ও মহাকালের অজানা রহস্য তথ্য দেওয়ার জন্য প্রকাশিত হয়েছে। এই পোস্ট এর বিষয়ে আপনার কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে নিচের বাটনে ক্লিক করে কমেন্ট করুন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি চাইলে ফেসবুকে আমাদের সাথে কানেক্ট থাকতে পারেন।