Sign In

শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা জানবো শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? এই পাঠে আপনি শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় বিভিন্ন তথ্য পাবেন এবং আপনার মনে সকল প্রশ্নের জবাব পাবেন আশা করছি। মানব জীবনের জন্য শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন জেনে নিই শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

দার্শনিক ও শিক্ষাবিদগণ শিক্ষাকে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। শিক্ষার উদ্দেশ্য বর্ণনা করে গেছেন। প্রাচীন দার্শনিক এরিস্টোটল, সক্রেটিস ও প্লেটো শিক্ষার তাৎপর্য বর্ণনা করে গেছেন।

সেই থেকে পরবর্তী সকল যুগের চিন্তাবিদরাই শিক্ষা সম্পর্কে কথা বলেছেন। শিক্ষার পরিচয় এবং সংজ্ঞা দেবার চেষ্টা করেছেন।

আল কুরআন থেকে জানা যায়, নবীগণ শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যেই প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁরা শিক্ষার তাৎপর্য এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্য সুস্পষ্টভাবে নিজ নিজ জাতির সামনে পেশ করেছেন।

সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও শিক্ষক হিসেবেই প্রেরিত হয়েছিলেন। তাঁর উপর অবতীর্ণ আল কুরআন এবং তাঁর নিজের বাণী হাদীস থেকে শিক্ষার তাৎপর্য এবং লক্ষ্য উদ্দেশ্য দিবালােকের মতাে প্রতিভাত হয়।

শিক্ষা কি?

শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?

এবার আমরা জানতে চেষ্টা করবাে শিক্ষা কি? শিক্ষার সংজ্ঞা কি? তাৎপর্য কি? আর প্রকৃতপক্ষে শিক্ষা বলতে কি বুঝায়? প্রথমে কয়েকটি শব্দ ব্যাখ্যা করতে চাই।

যেসব শব্দ ব্যবহার করে শিক্ষা বুঝানাে হয় সেগুলাের বিশ্লেষণ শিক্ষার মর্ম বুঝার সহায়ক হবে। যেমন কোনাে বস্তুকে বুঝতে হলে তার উপাদান বিশ্লেষণ করে দেখা একান্ত জরুরি।

ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার প্রতিশব্দ হলাে Education. Education শব্দের সাধারণ আভিধানিক অর্থ হলাে : শিক্ষাদান ও প্রতিপালন, শিক্ষাদান, শিক্ষা Educate মানে: To bring up and instruct, to teach, to train অর্থাৎ প্রতিপালন করা ও শিক্ষিত করিয়া ভােলা, শিক্ষা দেওয়া, অভ্যাস করানাে।

Samsad English-Begali Dictionary, Calcutta 22nd pression September 1990

Joseph T. Shipley ota ‘Dictionary of word Origins’-4 লিখেছেন, Education শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ‘Edex’ এবং ‘Ducer-Duc’ শব্দগুলাে থেকে। এ শব্দগুলাের শাব্দিক অর্থ হলাে, যথাক্রমে বের করা, পথ প্রদর্শন করা।

আরেকটু ব্যাপক অর্থে তথ্য সংগ্রহ করে দেয়া এবং সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করে দেয়া। একজন শিক্ষাবিদ লিখেছেন, Education শব্দের বুৎপত্তি অনুযায়ী শিক্ষা হলাে শিক্ষার্থীর মধ্যকার ঘুমন্ত প্রতিভা বা সম্ভাবনার পথ নির্দেশক।

আরেকজন শিক্ষাবিদ লিখেছেন ? “Education denotes the realization of innate human potentialities of individuals through the accumulation of knowledge.”

কুরআন হাদীস এবং আরবি ভাষায় শিক্ষার জন্যে যেসব পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, সে শব্দগুলাে এবার বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। এ ক্ষেত্রে পাঁচটি শব্দের ব্যবহার সুবিদিত।

আভিধানিক অর্থ থেকেই পরিষ্কার হলাে, এই পরিভাষাগুলাে ব্যাপক অর্থবােধক। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শব্দদ্বয় অত্যন্ত প্রশস্ত ভাব ব্যঞ্জনাময়। তৃতীয় শব্দটি ব্যবহৃত হয় বিশেষভাবে আচরণগত সুশিক্ষাদান অর্থে চতুর্থ শব্দটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কাংখিত অভ্যাস গড়ে তােলা অর্থে ব্যবহৃত হয়।

পঞ্চম শব্দটি ব্যবহৃত হয় পঠন, পাঠন, শিক্ষাদান, পাঠদান এবং শিক্ষাদানের মাধ্যমে অনাকাংখিত অভ্যাস ও অবস্থা দূরীকরণ অর্থে।

এই পরিভাষাগুলাে থেকে শিক্ষার সুদূর প্রসারী উদ্দেশ্য ও ব্যাপক পরিধি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এই পাঁচটি পরিভাষার মর্মার্থ সাজিয়ে লিখলে ইসলামের দৃষ্টিতে শিক্ষার তাৎপর্য পরিষ্কারভাবে বুঝা যাবে।

আভিধানিক অর্থ থেকে এই পরিভাষাগুলাের মর্ম নিম্নরূপ দাঁড়ায়:

৬. পূর্বোক্ত, ৭. পূর্বোক্ত গ্রন্থ, ৮. উক্ত গ্রন্থ, ৯, উক্ত গ্রন্থ।

১. প্রবৃদ্ধি দান করা/বৃদ্ধি করা/বড় করে তােলা।

২. উন্নত করা/উচু করা/অসর করানাে।

৩. পূর্ণতা দান করা/মহত্তর করা/মহান করা/প্রস্ফুটিত করা। ৪. জাগিয়ে তােলা/উথিত করা/উজ্জীবিত করা।

৫. নির্মাণ করা/প্রতিষ্ঠিত করা/গড়ে তােলা।

৬. লালন পালন করা/প্রতিপালন করা।

৭. শিক্ষাদান করা/শিক্ষিত করে তােলা।

৮. অভ্যাস করানাে/অনুশীলন করানাে/হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া/চর্চা করানাে/নিয়মানুবর্তিতা শেখানাে।

৯. পরামর্শ দেয়া/শিক্ষাপূর্ণ আদেশ দেয়া/জ্ঞাপন করা উপদেশ দেয়া।

১০. অনাকাংখিত আচরণাদি থেকে বিরত করার উদ্দেশ্যে শাসন করা/সুসভ্য করে গড়ে তােলার জন্যে শাসন করা।

১১. অন্তর্নিহিত শক্তি বিকশিত করা/সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করা/জন্মগত শক্তি, প্রতিভা ও যােগ্যতাকে প্রস্ফুটিত ও উদ্দীপ্ত করে দেয়া।

১২. সম্প্রসারিত করা/একটু একটু করে খােলা/বিকশিত করা।

১৩. পথ প্রদর্শন করা/পথ নির্দেশনা দান করা/সঠিক পথের সন্ধান দেয়া।

১৪. প্রেরণা দেয়া/উদ্বুদ্ধ করা/উদ্দীপ্ত করা/উৎসাহ প্রদান করা।

১৫. সন্ধান দেয়া/ সংবাদ দেয়া/ তথ্য প্রদান করা।

১৬. শিক্ষাদান পূর্বক নিয়মানুগ করানাে।

১৭. আনুষ্ঠানিক বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান।

১৮. শিক্ষা নবিশিতে ভর্তি হওয়া।

১৯. সংস্কার করা/সংস্কৃতবান করা/সুসভ্য করা/সংশােধন করা/ঘসে মেজে পরিচ্ছন্ন করা/নির্মল করা।

২০. শালীনতা, ভদ্রতা শােভনতা, শিষ্টাচার এবং সম্মানজনক ও মর্যাদা ব্যঞ্জক আচার ব্যবহার শেখানাে।

২১. ভদ্র, নম্র, বিনয়ী ও অমায়িক আচরণ শেখানাে।

২২. আদব কায়দা শিক্ষাদান/উন্নত জীবন প্রণালী শেখানাে।

২৩. উন্নত নৈতিক আচরণ শিক্ষাদান/সচ্চরিত্র শিক্ষাদান।

২৪. প্রথা ও রীতিনীতি অভ্যস্ত করানাে।

২৫. মানসিক, নৈতিক ও শারীরিক ধাত পরিগঠন করা।

২৬. কর্মদক্ষকরানাে/কর্মেঅভ্যস্ত করানাে/কৌশল শেখানাে/নিপুণতা অর্জনে সহায়তা করা।

২৭. অধ্যয়ন করা/দক্ষতা অর্জনের জন্যে মনােনিবেশের সাথে পাঠ করা/স্বেচ্ছায় ও সাগ্রহে অধ্যয়ন করা।

২৮, বিচার বিবেচনা করা/চিন্তাভাবনা করা/গবেষণা করা/ পুংখানুপুংখ পরিক্ষা করা/অনুসন্ধান করা।

২৯. উদ্ভাবন করা।

৩০. বিদ্যার্জন করা/পান্ডিত্য অর্জন করা/শেখা/জানা/ দক্ষতা অর্জন করা।

আরবি ও ইসলামী পরিভাষায় শিক্ষার জন্যে যে শব্দগুলাে ব্যবহৃত হয়, এ হলাে সেগুলাের বাংলা অর্থ ও মর্ম। এর মধ্যে একেবারে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ থেকে আরম্ভ করে মানসিক, আত্মিক, নৈতিক ও শারীরিক পরিপূর্ণ বিকাশ উন্নয়ন, পরিশীলতা ও দক্ষতা অর্জনের ব্যাপকতা রয়েছে।

শিক্ষাবিদ, দার্শনিক ও মনীষীদের মতামত আলােচনা করলেও দেখা যায়, তাঁদের কেউ কেউ শিক্ষার খুব সংকীর্ণ অর্থ করেছেন। আবার কারাে কারাে দৃষ্টিতে শিক্ষার পরিচয় পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক।

মূলত শিক্ষা মানুষের পূরাে জীবন পরিব্যাপ্ত। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষার ব্যাপকতা পরিব্যাপ্ত। মানুষ তার পূর্ণাংগ জীবনে যা কিছুই আহরণ করে, আত্মস্থ করে, তা শিক্ষার মাধ্যমেই করে। যে কোনাে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমই হলাে শিক্ষা।

শিক্ষার উদ্দেশ্য

প্রথমেই দেখা যাক, শিক্ষার উদ্দেশ্য সম্পর্কে মনীষীরা কে কি বলেছেন:

জন ডিউই বলেছেন : “শিক্ষার উদ্দেশ্য আত্ম উপলব্ধি।”

প্লেটোর মত হলাে: “শরীর ও আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ও উন্নতির জন্যে যা কিছুই প্রয়ােজন, তা সবই শিক্ষার উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত।”

প্লেটোর শিক্ষক সক্রেটিসের মতে ও শিক্ষার উদ্দেশ্য হলাে মিথ্যার বিনাশ আর সত্যের আবিষ্কার।”

এরিস্টোটল বলেছেনঃ “শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলাে ধর্মীয় অনুশাসনের অনুমােদিত পবিত্র কার্যক্রমের মাধ্যমে সুখ লাভ করা।”

শিক্ষাবিদ জন লকের মতে- “শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সুস্থ দেহে সুস্থ মন প্রতিপালনের নীতিমালা আয়ত্বকরণ।”

বিখ্যাত শিক্ষাবিদ হার্বার্ট বলেছেনঃ “শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে শিশুর সম্ভাবনা ও অনুরাগের পূর্ণ বিকাশ ও তার নৈতিক চরিত্রের কাংখিত প্রকাশ।

কিন্ডার গার্টেন পদ্ধতির উদ্ভাবক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ Froebel-এর মতে ? “শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সুন্দর বিশ্বাসযােগ্য ও পবিত্র জীবনের উপলব্ধি।”

কমেনিয়াসের মতেঃ “শিশুর সামগ্রিক বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আর মানুষের শেষ লক্ষ্য হবে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে সুখ লাভ করা।”

শিক্ষাবিদ Pestalozzi বলেছেনঃ “দেহ ও মনের সমান্তরাল পূর্ণ বিকাশই শিক্ষার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।”

পার্কার বলেছেনঃ “পূর্ণাংগ মানুষের আত্ম প্রকাশের জন্যে যেসব গুণাবলী নিয়ে শিক্ষার্থী এ পৃথিবীতে আগমন করেছে, শিক্ষার উদ্দেশ্য হবে সেসব গুণাবলীর যথাযথ বিকাশ সাধন।”

জীন জ্যাক রুশাের মতে সুঅভ্যাস গড়ে তােলাই শিক্ষার উদ্দেশ্য।

Bertrand Russell -এর একটি মন্তব্য হলাে: …………. The education system we must aim at producing in the future is one which gives every boy and girl an opportunity for the best that exists.

স্যার পার্সীনান বলেছেন: শিক্ষার উদ্দেশ্য হলাে: “চরিত্র গঠন, পরিপূর্ণ জীবনের জন্যে প্রস্তুতি এবং ভালাে দেহে ভালাে মন গড়ে তােলা।”

ডঃ হাসান জামান বলেছেনঃ “প্রত্যয় দীপ্ত মহত জীবন সাধনায় সঞ্জিবনী শক্তি সঞ্চার করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য।”

ডঃ খুরশীদ আহমদের মতে : “স্বকীয় সংস্কৃতি ও আদর্শের ভিত্তিতে সুনাগরিক তৈরি করা ………. এবং জাতির ধর্ম ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও উন্নয়নই হওয়া উচিত শিক্ষার উদ্দেশ্য।”

আল্লামা ইকবালের মতে: “পূর্ণাংগ মুসলিম তৈরি করাই হবে শিক্ষার উদ্দেশ্য।”

বিখ্যাত দার্শনিক ও ইসলামী চিন্তানায়ক সাইয়েদ মওদূদী (রঃ) শিক্ষার উদ্দেশ্য নিয়ে বলেন :

‘মানুষ কেবল চোখ দিয়েই দেখেনা, এর পেছনে রয়েছে তার সক্রিয় মন ও মগজ। রয়েছে তার একটা দৃষ্টিভংগি ও মতামত। জীবনের একটা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য আছে তার।

সমস্যাবলী নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার একটা প্রক্রিয়া তার আছে। মানুষ যা কিছু দেখে, শুনে এবং জানে, সেটাকে সে নিজের অভ্যন্তরীণ মৌলিক চিন্তা ও ধ্যান ধারণার সাথে সামঞ্জস্যশীল করে নেয়। অতপর সেই চিন্তা ও ধ্যান ধারণার ভিত্তিতেই তার জীবন পদ্ধতি গড়ে উঠে।

এই জীবন পদ্ধতিই হলাে সংস্কৃতি। যে জাতি একটা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, আকিদা বিশ্বাস ও উদ্দেশ্য লক্ষ্যের অধিকারী এবং যাদের রয়েছে নিজস্ব জীবনাদর্শ, তাদেরকে অবশ্যি তাদের নতুন প্রজন্মকে সেই স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, আকিদা বিশ্বাস, উদ্দেশ্য, লক্ষ্য ও জীবনাদর্শের রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার বিকাশ ও উন্নয়নের যােগ্য করে গড়ে তােলা কর্তব্য। আর সে উদ্দেশ্যকে কেন্দ্র করেই গড়ে তুলতে হবে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা।

১৯৮৯ সালের ২০ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতভাবে শিশু অধিকার সনদ গৃহীত হয়। এতে চুয়ান্নটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। অনুচ্ছেদ ২৮ শিশু শিক্ষা নিশ্চিত করার দলিল। অনুচ্ছেদ ২৯/১-এ শিক্ষার লক্ষ্য বর্ণনা করা হয়েছে।

অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপঃ

শিক্ষার লক্ষ্য অনুচ্ছেদঃ ২৯

১. শরিক রাষ্ট্রসমূহ এ ব্যাপারে সম্মত যে, শিশুদের শিক্ষা দানের ক্ষেত্রে লক্ষ্য থাকবে-

ক. শিশুর ব্যক্তিত্ব, মেধা এবং মানসিক ও শারীরিক সামর্থ্যের পরিপূর্ণ বিকাশ;

খ. মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার এবং জাতিসংঘ ঘােষণায় বর্ণিত নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ; .

গ. শিশুর পিতা-মাতা তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক সত্তা, ভাষা ও মূল্যবােধ, তার মাতৃভূমি এবং অপরাপর সভ্যতার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

ঘ. সমঝােতা, শান্তি, সহিষ্ণুতা, নারী-পুরুষের সমানাধিকার এবং সকল মানুষ নৃ-গােষ্ঠী, জাতীয় ও ধর্মীয় গােষ্ঠী এবং আদিবাসী লােকজনের মধ্যে মৈত্রীর চেতনার আলােকে একটি মুক্ত সমাজে দায়িত্বশীল জীবনের জন্য শিশুর প্রস্তুতি;

ঙ. প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ।

এই অনুচ্ছেদটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের দৃষ্টিতে শিশুর শিক্ষার লক্ষ্য হলােঃ

১. ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ বিকাশ;

২. মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ;

৩. মানসিক শক্তির পরিপূর্ণ বিকাশ;

৪. শারীরিক সামর্থের পরিপূর্ণ বিকাশ;

৫. মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

৬. মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

৭. জাতিসংঘ ঘােষণায় বর্ণিত নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

৮, পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

৯. নিজস্ব সাংস্কৃতিক সত্তার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

১০. নিজস্ব ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

১১. নিজস্ব মূল্যবােধের প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

১২. মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

১৩. অপরাপর সভ্যতার প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ;

১৪. সমঝােতা, শান্তি, সহিষ্ণুতা, নারী-পুরুষের সমানাধিকার এবং সকল মানষ, নৃ-গােষ্ঠী, জাতীয় ও ধর্মীয় গােষ্ঠী এবং আদিবাসী লােকজনের মধ্যে মৈত্রীর চেতনার আলােকে একটি মুক্ত সমাজে দায়িত্বশীল জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ;

১৫. প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি শ্রদ্ধাবােধের বিকাশ।

প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আপনাদের জন্য আজকের শিক্ষা কি? শিক্ষার উদ্দেশ্য কি? সংক্রান্ত আয়োজন। আশা করছি এটা আপনার খুব কাজে লাগবে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ফেসবুক পেইজটি লাইক ও ফলো করে রাখুন।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *